ছবিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানব চিড়িয়াখানার ভিতরে একজন ফিলিপিনো শিশু ও তার পরিবার, নিউ ইয়র্ক (কনি আইল্যান্ড), ১৯০৬। মানব চিড়িয়াখানা একসময় ইউরোপ আমেরিকায় খুব সাধারণ বিষয় ছিল। এইসব চিড়িয়াখানায় আফ্রিকা, আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষদেরকে ধরে নিয়ে চিড়িয়াখানার প্রাণীর মতো প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হতো। কেমন জানি এরা ভিন্ন প্রজাতির কোন প্রাণী। ইউরোপ আমেরিকার পশ্চিমাদের বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির এক কুৎসিত দৃষ্টান্ত।
ইউরোপীয়দের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই সকল মানুষ ছিল মূলত আদিম যুগের মানুষের উদাহরণ। তাদের কাছে ইউরোপীয়রা যখন সভ্যতার শীর্ষে উঠে যাচ্ছে তখন এই সকল মানুষ এখনো সভ্যতার ছোঁয়া পায়নি।
মজার ব্যাপার হলো, হিটলারই প্রথম ইউরোপীয় নেতা যিনি মানব চিড়িয়াখানা নিষিদ্ধ করেছিলেন। যদিও ইহুদিদের প্রতি হিটলারের বর্ণবাদী আচরণ ইতিহাসের একটি বিতর্কিত অধ্যায়।তবে মানব চিড়িয়াখানাটি ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত বেলজিয়ামে প্রচলিত ছিল। এখানে উল্লেখ্যযোগ্য যে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপল্ডের বর্ণবাদী নৃশংস ঔপনিবেশিক শাসন কথা জানলে ইউরোপে মানব চিড়িয়াখানাকে কেউ অস্বাভাবিক ভাববে না।