পশ্চিমা সমাজের অনেকেই আজ অতিষ্ঠ, যখন তারা What is woman? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে হতভম্ব। এই প্রশ্নের উত্তর তো সাধারণ, যে মা হতে পারে সেই মেয়ে, সেই মহিলা, সেই নারী। অর্থাৎ তার ইউটেরাস আছে, মাসিক আছে, আছে প্রজননের অন্যান্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ। কিন্তু না, চরম উদারনৈতিক লিবারেলরা এই সংজ্ঞায় সন্তুষ্ট নয়। বরং তাদের কাছে, যে মনে মনে নিজেকে নারী ভাবেন সে-ই নারী; যদিও তার দুই পায়ের মাঝে পুরুষাঙ্গ থাকে। শুধু কৃত্রিম উপায়ে হরমোন থেরাপি নিলেই হবে। তাতেই অন্যরা তাকে নারী হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য।
কয়েক বছর আগে Paula Scanlan ও Riley Gaines নামে দুইজন মেয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাদের লাঞ্ছনার ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তারা মেয়েদের কমন রুমে লিয়া থমাস নামে একজন ট্রান্সজেন্ডারের উপস্থিতি কিভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা বর্ণনা করেছেন। একইসাথে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জাননোর পর উল্টো তিনি লাঞ্ছনার শিকার হয়। অর্থাৎ লিবারাল কতৃপক্ষ লিয়া থমাসকে নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বটে কিন্তু স্কুলের অন্যান্য মেয়েদের মতামত বিবেচনা না এনেই তাকে মেয়েদের কমন রুম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, লিয়া থমাসের মতো সদ্য নারীরূপীরা মেয়েদের খেলাধুলায় অতি সহজেই প্রথম স্থান দখল করে নেয়। কারণ তাদের শরীরের সকল অঙ্গই পুরুষালী।
মজার ব্যাপার হলো, লিবারাল ফেমিনিস্টরা আবার এই বিষয়ে নিশ্চুপ। কারণ তারা আগে লিবারাল তারপর ফেমিনিস্ট। তবে যে ফেমিনিস্টরা এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা আবার ক্যান্সেল কালচারের শিকার হয়েছে। যেমনটি ঘটেছে অপরা উইনফ্রির ক্ষেত্রে, যখন তিনি What is woman? এই প্রশ্নের উত্তরে শুধু মাতৃত্ব আর মাসিকের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন। যারা মাতৃত্ব আর মাসিকের কষ্ট বোঝে না তারা নারী হয় কিভাবে!
এই বিষয়টি যে ট্রান্সজেন্ডারে সীমাবদ্ধ থাকবে তা কিন্তু নয়। এরপর শুরু হবে LGBTQ স্বাভাবিকিকরণ প্রক্রিয়া। এদের মূল উদ্দেশ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তাদের উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়, "We are coming for your children" গানে। এদের যদি আমরা উদারনৈতিকভাবে গ্রহণ করতে থাকি তখন আর কতদিন বাকি থাকবে যখন Incest, Pedophile, Necrophilia আর beastiality তে আকাঙ্ক্ষীরা স্বাভাবিকিকরণ চাইবে। একটা লাইন প্রয়োজন যেখানে ভালো মন্দের পার্থক্য সুস্পষ্ট হবে। সেই লাইন তৈরি আর রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে হিজড়ার লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত। তাদের মানবাধিকার রক্ষা আবশ্যক আর সব দিক দিয়ে প্রশ্নাতীত। কিন্তু সেই সুযোগে যেন পশ্চিমা বিভ্রান্তি আমাদের মাথায় জেঁকে না বসে। ট্রান্সজেন্ডার কোটা যদি হিজড়াদের নিয়ে হয়। তাহলে শব্দ চয়ন ঠিক করতে হবে। কারণ প্রাকৃতিক কোনো বিষয়ের সাথে কৃত্রিম কুপ্রবৃত্তি তাড়িত বিষয়কে গুলিয়ে ফেললে হবে না। সচেতন হতে হবে, সচেতন করতে হবে। আমরা লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার কারণ হবো না তবে কোনো ধোঁকাবাজির শিকার হবো না।